বাংলার কত শত ছেলে যুদ্ধে গিয়ে হারিয়ে গেছে চিরতরে কে জানে সে হিসেব? এদের অনেকেই হয়ত পরিবারকে না জানিয়েই যোগ দিয়েছিল যুদ্ধে। সে আক্ষেপে হয়ত বার বার দংশিত হয়েছে কারো সন্তান, কারো স্বামী, কারো ভাই। ওদের কেউ হয়ত ফিরে এসেছিল গাজী হয়ে, কেউবা মৃত্যুর স্বাদ নিয়েছিল বুকে শত্রুর তপ্ত সীসা আর পরিবারকে না জানানোর আক্ষেপ নিয়েই। ঠিক এরকম যোদ্ধাদের মানসিক অবস্থা নিয়েই নীচের কবিতাটি ...
___________
যুদ্ধ-যাত্রা
বৌটা মুখে আঁচল চেপে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছিল, সান্ত্বনা দেয়া হয় নি
থাক না, যুদ্ধ থেকে এসেই না হয় সান্ত্বনা দিব
বাবুটা অঘোরে ঘুমাচ্ছিলো, জাগালাম না আর
স্বাধীন দেশেই না হয় ডাকব
ওঘরে বাবা ছিলেন, প্যারালাইজড্ রুগী, কিছু বললাম না
দেশ স্বাধীন করে এসেই না হয় এক দিন বলব
মা তাকিয়ে ছিলেন প্রশ্ন চোখে মোটা চশমার ওপাশ থেকে, চশমার
ফাঁক গলে
জল গড়াচ্ছিল অবিরাম
আমি মার কাছে মিথ্যা বললাম - জীবনের প্রথম !
যুদ্ধ থেকে এসেই না হয় সত্যটা বলব ।
একে একে সবার মুখে তাকালাম
মনে মনে সৃষ্টিকর্তাকে বললাম
দেশটাকে যেন স্বাধীন করতে পারি,
এতগুলো মানুষের সাথে যে
অপরাধ করলাম স্বাধীনতার খবর দিয়ে যেন তার প্রায়শ্চিত্ত
করতে পারি ... প্রায়শ্চিত্ত করতে পারি।
থাক না, যুদ্ধ থেকে এসেই না হয় সান্ত্বনা দিব
বাবুটা অঘোরে ঘুমাচ্ছিলো, জাগালাম না আর
স্বাধীন দেশেই না হয় ডাকব
ওঘরে বাবা ছিলেন, প্যারালাইজড্ রুগী, কিছু বললাম না
দেশ স্বাধীন করে এসেই না হয় এক দিন বলব
মা তাকিয়ে ছিলেন প্রশ্ন চোখে মোটা চশমার ওপাশ থেকে, চশমার
ফাঁক গলে
জল গড়াচ্ছিল অবিরাম
আমি মার কাছে মিথ্যা বললাম - জীবনের প্রথম !
যুদ্ধ থেকে এসেই না হয় সত্যটা বলব ।
একে একে সবার মুখে তাকালাম
মনে মনে সৃষ্টিকর্তাকে বললাম
দেশটাকে যেন স্বাধীন করতে পারি,
এতগুলো মানুষের সাথে যে
অপরাধ করলাম স্বাধীনতার খবর দিয়ে যেন তার প্রায়শ্চিত্ত
করতে পারি ... প্রায়শ্চিত্ত করতে পারি।
মূল লেখা
http://goo.gl/xCtgh
Post a Comment