নাম ফজর। চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানার তর্তিপুর গ্রামে তাঁর জন্ম।
তিনি ছিলেন বাবা-মার একমাত্র সন্তান। ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় আর
সবার মত দেশের টানে, মায়ের মান বাঁচাতে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।
বীরত্বের সাথে তিনি যুদ্ধ করেছেন। যুদ্ধের সময় তাঁর মায়ের কথা খুব মন পরত।
তিনি প্রায় তাঁর মায়ের হাতের গুঁড়ের পিঠা খেতে চাইতেন। ছেলের একথা শুনে
তাঁর মা গুঁড় কিনে এনে বাসায় রাখলেন আর ছেলের পথ চেয়ে বসে থাকলেন, ছেলে
আসলে পিঠা বানিয়ে খাওয়াবেন।
ফজরের জন্য যে শুধু যে তাঁর বৃদ্ধ মা পথ চেয়ে থাকতেন, তা নয় কিন্তু, রাজাকার নামের একদল হিংস্র রক্তচোষা জানোয়ারও পথ চেয়ে থাকতো । দিনে ২-৩ বার করে রাজাকার নামের রক্তচোষা জানোয়াররা তাঁর খোঁজে আসত। তাঁর বৃদ্ধ মাকে নানা ভাবে নির্যাতন করত। কিন্তু মা কিছুই বলতেন না।
একদিন ফজর তাঁর মাকে গোপনে দেখতে আসলেন। বৃদ্ধ মাকে তিনি বললেন, যে তিনি না খেয়ে আছেন। মা তাঁর জন্য মনের আনন্দে গুঁড়ের পিঠা বানাতে গেলেন। ফজর ঘরের ভিতর ঘুমাতে গেলেন। এমন সময় রাজাকার আর পাক হানাদার বাহিনী ফজরের আগমনের খবর পেয়ে তাঁকে ধরতে তাঁদের বাসায় ঢুকে পড়ে। জানোয়ারদের আগমনের শব্দ পেয়ে ফজর ঘরের ছাদের উপর লুকিয়ে পড়েন।
রাজাকার আর পাক হানাদার বাহিনী তাঁর বৃদ্ধ মাকে নানান ভাবে ধমকাতে লাগল - শাসাতে লাগল- বলল “এই বুড়িয়া তোর ব্যাটা কাহা পার হায়”
কিন্তু ফজরের বৃদ্ধ মা ছেলের প্রাণ বাঁচাতে মুখ খুলেন নি। ফজর লুকিয়ে লুকিয়ে তা দেখছিলেন।
যখন জানোয়ারগুলো দেখল, ফজরের বৃদ্ধ মা কিছু বলছেনা, তখন জানোয়ারগুলো তাঁর বৃদ্ধ মাকে মারতে শুরু করল, ফজর তা সহ্য করতে না পেরে ছাদ থেকে নেমে এসে ধরা দিলেন।
মায়ের মান বাঁচাতে নিজের দেহটাকে রক্তচোষা হিংস্র জানোয়ারদের হাতে দিয়ে দিলেন।
রাজাকার আর পাক হানাদার বাহিনী তাঁকে ধরে নিয়ে গেল, দু’দিন নির্মম প্রহারের পর তাঁর দেহকে টুকরো টুকরো করে মাংস বানিয়ে তাঁর মায়ের কাছে পাঠিয়ে দিল।
আর এভাবে মায়ের মান বাঁচাতে আমাদের মহান মুক্তিযোদ্ধা ফজর শহীদ হয়েছেন।
(গল্পটা আমার মায়ের মুখে শোনা। যেটুকু শুনেছি , সেটুকুই লিখলাম।
আর লেখার মাঝে কোন ভুল থাকলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার জন্য অনুরোধ করছি।)
মূল লেখা : http://www.somewhereinblog.net/blog/ratul_shah/29550975
ফজরের জন্য যে শুধু যে তাঁর বৃদ্ধ মা পথ চেয়ে থাকতেন, তা নয় কিন্তু, রাজাকার নামের একদল হিংস্র রক্তচোষা জানোয়ারও পথ চেয়ে থাকতো । দিনে ২-৩ বার করে রাজাকার নামের রক্তচোষা জানোয়াররা তাঁর খোঁজে আসত। তাঁর বৃদ্ধ মাকে নানা ভাবে নির্যাতন করত। কিন্তু মা কিছুই বলতেন না।
একদিন ফজর তাঁর মাকে গোপনে দেখতে আসলেন। বৃদ্ধ মাকে তিনি বললেন, যে তিনি না খেয়ে আছেন। মা তাঁর জন্য মনের আনন্দে গুঁড়ের পিঠা বানাতে গেলেন। ফজর ঘরের ভিতর ঘুমাতে গেলেন। এমন সময় রাজাকার আর পাক হানাদার বাহিনী ফজরের আগমনের খবর পেয়ে তাঁকে ধরতে তাঁদের বাসায় ঢুকে পড়ে। জানোয়ারদের আগমনের শব্দ পেয়ে ফজর ঘরের ছাদের উপর লুকিয়ে পড়েন।
রাজাকার আর পাক হানাদার বাহিনী তাঁর বৃদ্ধ মাকে নানান ভাবে ধমকাতে লাগল - শাসাতে লাগল- বলল “এই বুড়িয়া তোর ব্যাটা কাহা পার হায়”
কিন্তু ফজরের বৃদ্ধ মা ছেলের প্রাণ বাঁচাতে মুখ খুলেন নি। ফজর লুকিয়ে লুকিয়ে তা দেখছিলেন।
যখন জানোয়ারগুলো দেখল, ফজরের বৃদ্ধ মা কিছু বলছেনা, তখন জানোয়ারগুলো তাঁর বৃদ্ধ মাকে মারতে শুরু করল, ফজর তা সহ্য করতে না পেরে ছাদ থেকে নেমে এসে ধরা দিলেন।
মায়ের মান বাঁচাতে নিজের দেহটাকে রক্তচোষা হিংস্র জানোয়ারদের হাতে দিয়ে দিলেন।
রাজাকার আর পাক হানাদার বাহিনী তাঁকে ধরে নিয়ে গেল, দু’দিন নির্মম প্রহারের পর তাঁর দেহকে টুকরো টুকরো করে মাংস বানিয়ে তাঁর মায়ের কাছে পাঠিয়ে দিল।
আর এভাবে মায়ের মান বাঁচাতে আমাদের মহান মুক্তিযোদ্ধা ফজর শহীদ হয়েছেন।
(গল্পটা আমার মায়ের মুখে শোনা। যেটুকু শুনেছি , সেটুকুই লিখলাম।
আর লেখার মাঝে কোন ভুল থাকলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার জন্য অনুরোধ করছি।)
মূল লেখা : http://www.somewhereinblog.net/blog/ratul_shah/29550975
Post a Comment